মেডিভয়েস রিপোর্ট: খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনে মতো চলছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ১০টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসরা এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন। দোষীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আজ বুধবার (১৬ আগস্টা) খুলনা মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মেডিকেলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মামলা আমলে নিয়ে আসামীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দোষীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলবে।’
তিনি আও বলেন, ‘হামলায় ১১ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। বাকি ৭জনও এখন পর্যন্ত মেডিকেলে ভর্তি আছে। আর মোট আহত হয়েছে ৩০ জন।’
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. দীন-উল-ইসলাম বলেন, 'সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।'
এ ঘটনা নিয়ে আজ বুধবার দুপুরে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্যের মধ্যস্থতায় একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানের এখনো বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের সামনের মেসার্স বিপ্লব মেডিসিন কর্ণারে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী কিছু ওষুধ কিনতে যান। সেখানে ওষুধের মোট মূল্য হয় ৭০ টাকা। কিন্তু ওই ৭০ টাকার ওষুধে শতকরা ১০ টাকা কমিশন দিয়ে ৬৩ টাকা রাখার অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু ৭০ টাকার ওষুধে কোনো কমিশন নেওয়ার সুযোগ নেই জানালে-এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও বিক্রেতার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
এএইচ/