সমাজে অনেক সময় আমরা দেখি তরুণীরা অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের পুরুষের সাথে অর্থাৎ বাবা বয়সী পুরুষের সাথে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক করেন কিংবা পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।
শুধু তাই নয়, কখনো কখনো অনেক তরুণী বলেন, স্বামী বা প্রেমিক হিসেবে তাদের পছন্দ বয়স্ক, পিতৃতুল্য মানুষগুলো। কিশোরী বা তরুণীদের এই মানসিক অবস্থাকে বলে ‘ডেডি ইস্যু।’
‘ডেডি ইস্যু’ শব্দটি বিখ্যাত বিশ্ববিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট ও মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েডের ‘ফাদার কমপ্লেক্সের’ প্রতিশব্দ বলা যায়।
সাইকিয়াট্রিস্ট, মনোবিজ্ঞানী 'সিগমুন্ড ফ্রয়েড' তার 'ইডিপাস কমপ্লেক্স' তত্ত্বে উল্লেখ করে একটি ছেলে শিশু তার ফ্যালিক স্টেইজ অব ডেভেলপমেন্টের সময়ে (বয়স ৩-৬) সে তার মায়ের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে, এমনকি সে তার বাবাকে নিজের প্রতিযোগী ভাবতে পারে।
ডেডি ইস্যুতে যারা ভোগেন
তরুণ বা তরুণী উভয়ের মধ্যে ডেডি ইস্যু দেখা যায়। ডেডি ইস্যুর জন্য অনেক সময় আমাদের সামাজিক জীবনে দেখা দেয় নানা রকমের সম্পর্কের জটিলতা, টানাপোড়েন এবং দেখা যায় বিভিন্ন রকম সামাজিক ন্যুইসেন্সি।
ডেডি ইস্যুর কারণ
শৈশবে বাবার সাথে সম্পর্কের জটিলতা, বাবা কর্তৃক শারীরিক-মানসিক এমনকি যৌন নির্যাতনের ফলে পরিণত বয়সে অনেক কিশোর/কিশোরী বা তরুণ/তরুণীর মধ্যে 'ডেডি ইস্যু' দেখা দিতে পারে।
শৈশবে বাবার স্নেহ, আদর, ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত শিশু মন অবচেতনে আজীবন বাবার ভালোবাসা পাবার তৃষ্ণায় থাকে। ফলে পরিণত বয়সে দেখা যায়, সে বাবার বয়সী মানুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। অনেক সময় সে শারীরিক মেলামেশার বিনিময়ে হলেও সে সেই বয়স্ক লোককে কাছে রাখতে চায়।
আশঙ্কার কথা হলো, এই 'ডেডি ইস্যুর' জন্য সমাজে তৈরি হয় নানান ন্যুইসেন্সি। শুধু তাই নয়, ডেডি ইস্যু আক্রান্ত কিশোরী বা তরুণী অনেক সময় মারাত্মক সেক্সুয়াল এব্যুজের শিকার হন।
এএনএম/