ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে শতাব্দীর নৃশংসতম বর্বরতা। ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে গণহত্যার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির ৫০ হাজারের অধিক বেসামরিক নাগরিক। এর বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের বোমাবাজির লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন সাংবাদিকরা, তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইসরায়েল গাজার হাসপাতালগুলোতে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতেও এই মৃত্যুপুরীর নিপীড়িত মানুষের সেবায় ছুটে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মোন্যাশ ইউনিভার্সিটিতে ক্লিনিক্যাল অ্যাসোসিয়েট লেকচারার বাংলাদেশি চিকিৎসক মো. মইনুল হোসেন খান। শনিবার (১২ এপ্রিল) মেডিভয়েসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাজার সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরেছেন এই ফ্যামিলি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও অ্যানেস্থিশিওলজিস্ট। জানিয়েছেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আদ্যোপান্ত। কথা বলেছেন নবাব আব্দুর রহিম।
যে ভাবনা টেনে নিয়ে গেল মৃত্যুপুরীতে
গত ১৮ মাস ধরে পৃথিবীর অন্যতম নৃংশসতম গণহত্যা চলছে গাজা উপত্যকায়। হাসপাতালে কাজ করার সময় বিভিন্ন জায়গায় দেখতাম প্রচুর নারী-শিশুসহ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এসব খবর দেখেই আমি চিন্তা করি, কীভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায়। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম। পরে অর্থ সহায়তার চিন্তা করি। আরও পর আমার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী সহযোগিতার চিন্তা করি। আমি সিদ্ধান্ত নিই সেখানে যাবো। এক বছর আগে থেকে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে গাজায় যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলাম। জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আরও বেশ কিছু সংস্থার মাধ্যমে যাওয়া যায়। আমি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতে থাকি। আমাকে প্রথমবার সময় দেওয়া হলে আমি সমস্ত কাজ থেকে মুক্ত হই। কিন্তু এক পর্যায়ে ওই মিশনটি বাতিল করে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
কুড়িয়ে আনা ওষুধে চলছে গাজাবাসীর চিকিৎসা
কারেম আবু সালেম বা কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ফিলিস্তিনে প্রবেশ করি। যখন সীমান্ত ক্রস করি অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে, তখন দুই থেকে তিন বা চার কিলোমিটার পর্যন্ত দেখলাম ধ্বংসযজ্ঞ। নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ। কোনো বাড়ি-ঘর অক্ষত নেই। সমস্ত কিছু মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো দালানই দাঁড়িয়ে নেই। ফসলের জমিও এমনভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রথম তিন-চার কিলোমিটার ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়া কিছুই নেই। পরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএন-আরডব্লিউএ) মাধ্যমে একটি হাসপাতালে পৌঁছাই। সেখানে আমি চিকিৎসাসেবা দেই।
সত্যি বলতে গাজাতে স্বাস্থ্যসেবা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। আমি বিভিন্ন দেশে কাজ করেছি। অ্যাম্বুলেন্স ও রেফারেল সিস্টেমসহ সব দিক দিয়ে গাজার চিকিৎসাসেবা ছিল বিশ্বমানের। কিন্তু ইসরায়েল উপত্যকার প্রায় ২৭টি হাসপাতালের মধ্যে ১৭টি হাসপাতালই সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে, যেখানে যুদ্ধসহ যেকোনো পরিস্থিতিতেই হাসপাতাল নিরাপদ অঞ্চল বিবেচিত হয়। হাসপাতালে যেকোনো ধরনের আক্রমণ করা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ। এখন প্রায় ৯-১০টি হাসপাতাল আছে। এগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং পুরোপুরি কাজ করছে না। হাসপাতালগুলোতে সক্ষমতার তুলনায় কয়েকশত গুণ বেশি রোগী। কিন্তু চিকিৎসা ও সরবরাহ খুবই কম, নেই বললেই চলে। জীবন বাঁচানোর ওষুধও খুবই কম পরিমাণে আছে। যা আছে, তারও বেশিরভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ। সেগুলোও কুড়িয়ে আনা হয়েছে ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলো থেকে। এসব দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে।
গাজাতে গত ১৮ মাস ধরে কোনো বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ ছাড়া সোলার বা অল্প কিছু জেনারেটর শক্তি দ্বারা কিভাবে হাসপাতাল চালানো যায়, তা চিন্তার বাইরে। আমি ওখানে অ্যানেস্থিশিয়া সেবা দিয়েছি। বোমা হামলার কারণে ওখানে মূলত অর্থোপেডিক সার্জারি, জেনারেল সার্জারি এবং নিউরোসার্জারির কাজ বেশি, সাথে অ্যানেস্থিশিয়া। দেখা গেছে, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার খুবই উন্নত, খুবই আধুনিক। কিন্তু উপকরণ নেই। হয় তো ধ্বংস হয়ে গেছে অথবা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে অকার্যকর হয়ে গেছে। মেরামতের জন্য যেসব যন্ত্রাংশ প্রয়োজন, তাও আমদানি করা সম্ভব না। ফলে গত ১৮ মাস ধরে এসব অচল। অপারেশন থিয়েটারে বিদ্যুৎ নেই। বেশিরভাগ সময়েই টর্চের আলো এবং জেনারেটরের মাধ্যমে কাজ চালাতে হতো। গাজার এই পরিস্থিতি বলে বোঝানো সম্ভব না। দেখলে অবাক হবেন, এত সুন্দর একটি জায়গাকে কিভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা যায়। এর মধ্যেও হাসপাতালে বিভিন্নভাবে আক্রমণ চলছে। আমি যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি, সে হাসপাতালেও বোমা হামলা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইনে কোনোভাবেই হাসপাতালে আক্রমণ করার অধিকার কারোরই নেই। কিন্তু গাজার যে অবস্থা, বর্তমানে জাতিসংঘের মহাপরিচালক বলছেন, ১০ হাজার বাসিন্দার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন। এটি ডকুমেন্টেড সংখ্যা, প্রকৃত সংখ্যা যে কত হাজার ..., যাদের বিভিন্ন কারণে বিদেশে যাওয়া দরকার, লাইফ সেভিং অপারেশনের জন্য যাওয়া দরকার। কারণ ওখানে খুবই সীমিত মেডিকেল উপকরণ প্রবেশ করেছে, বেশিরভাগই যুদ্ধবিরতির সময়। এ ছাড়া কোনো উপকরণ প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। সভ্য মানুষের পক্ষে এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
গাজাবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি
গাজার শতভাগ মানুষ বিভিন্নভাবে আক্রান্ত। সদ্যজাত শিশু থেকে শুরু করে সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ মানুষটিও আক্রান্ত হচ্ছেন শারীরিক অথবা মানসিকভাবে। অনেক শিশু আছে, যাদের পরিবারে আর কেউ বেঁচে নেই। অনেক বৃদ্ধের ক্ষেত্রেও এমনটি হচ্ছে। একটি পরিবারের একশোর উপরে লোক মেরে ফেলা হয়েছে। বাবা-মা, চাচা-চাচি, দাদা-দাদি সবাই, বোমা হামলা করে বিল্ডিংয়ের মধ্যেই তাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে। ওই বাচ্চাটা কিভাবে বড় হবে? তার ভাই-বোন সবাইকে হারিয়েছে। নিজেকে যদি ওই জায়গায় দেখেন, কোনোভাবেই চিন্তা করতে পারবেন না কিভাবে এই বাচ্চাটা বড় হবে। এর উপরে, ওখানে খাবার নেই। খাবার অভাব, পুষ্টির অভাবে চলতে পারছে না। পরিবারগুলোই চলতে পারছে না। আর যুদ্ধের কারণে যারা আহত, হাত নেই, পা নেই, তাদের অবস্থা আরও খারাপ। কারণ আপনি কিভাবে ত্রাণ সংগ্রহ করবেন? উপায় নেই। অনেকের ক্রাচ লাগবে, কিন্তু ক্রাচ নেই। অনেকের হাত-পা সব অবশ, স্প্লিন্টারের কারণে। অনেকের চোখে স্প্লিন্টার ঢুকেছে, অন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের ব্রেনে ঢুকেছে, সারাদিন মাথা ব্যথা করে। এভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত।
আর কত লোক যে মারা গেছে, তার হিসাব নেই। বলা হচ্ছে, ৫০ হাজার। কিন্তু এটি ডকুমেন্টেড, যারা কিনা সরাসরি বিমান হামলা অথবা গুলিবর্ষণে নিহত। এ ছাড়াও অন্যান্য অসুখের চিকিৎসা পাচ্ছে না গাজার মানুষ। কারণ, আঘাতের রোগী দিয়ে হাসপাতাল ভর্তি। ওই কারণে যে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। এর বাইরে লক্ষাধিক মানুষ ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে। এরা নিশ্চিত মৃত। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের তালিকাভুক্ত করছে না, সরাসরি হত্যার শিকার নাগরিকদের তালিকা নির্ভুল রাখতে। যেন শত্রুপক্ষও কোনোভাবে আপত্তি তুলতে না পারে। এজন্য সংখ্যাটিকে সর্বনিম্ন রাখা হয়েছে, আসল সংখ্যা দুই লক্ষের বেশি হবে। প্রায় একই পরিমাণ মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
এর থেকে বেশি আঘাতটা মানসিক। চোখের সামনে সন্তানের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। অনেকে আছে, জন্মের পর শিশুর জন্মসনদ নিতে বাবা হাসপাতালে এসেছেন, গিয়ে দেখেন বাচ্চা মারা গেছে। আবার মৃত্যুসনদের জন্য আসতে হচ্ছে হাসপাতালে। এই কষ্ট আমি একজন বাবা হিসেবে চিন্তা করি, এই ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণ করা যাবে না। এর মধ্যেও ক্রমাগতভাবে বোমা হামলা হচ্ছে। ওখানে থাকলে আপনি বলতে পারবেন না যে, এই নামাজ পড়ার পর পরবর্তী নামাজ আপনি পড়তে পারবেন কিনা।
আমি একটু আগে এখানে বসে আছি, আমার সাথে কিছু মানুষ ছিল। আমার উপর দিয়ে হেলিকপ্টার যাচ্ছিল, মনে মনে আমার চিন্তা আসছিল। আমি আল্লাহর নাম জপছি। কারণ ওখানে আপনার মাথার উপর দিয়ে হেলিকপ্টার বা বিমান যাবে—তার মানে আপনি এখনই শেষ। আপনাকে শাহাদাহ পাঠ করতে হবে, কারণ আপনি এখনই মারা যাবেন। ওখানকার অভ্যাসটা এখনও আমার মধ্যে আছে। তার মানে, ওখানে যারা ১৮ মাস ধরে এই অবস্থার মধ্যে যাচ্ছে তাদের মানসিক অবস্থাটা কী রকম?
গাজায় স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হতে চাইলে
গাজার স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হতে চাইলে সেখানে যারা কাজ করে, তাদের কাছে আবেদন করতে হবে। যেমন—ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস। তবে এমন না যে, ওখানে প্রতিদিন লোক পাঠানো হচ্ছে। একজন বের হলে আপনি যেতে পারবেন। এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে।
ওখানে চিকিৎসাসেবা অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ। কিন্তু আমি মনে করি, গাজার হত্যাযজ্ঞ যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। আমি চিকিৎসা দিচ্ছি, ৩০টি অস্ত্রোপচার করে ৩০ জনের জীবন রক্ষা করলাম। কিন্তু একটি বোমা হামলা করে আরও একশোজনকে মেরে ফেলা হচ্ছে। এটি তো একটি লস্ট ব্যাটেল, হেরে যাওয়ার যুদ্ধ। আসলে ওখানে শুধু যুদ্ধ বন্ধ করলে হবে না, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে, যাতে এই ধরনের কাজ আর কেউ করতে না পারে। এমনকি ইসরায়েলের বাসিন্দাদের উপরও যেন এমনটি না হয়।
তবে সুযোগ থাকলেই যে সবাই যায়, তাও কিন্তু নয়। প্রথমে আমার যখন ডাক এসেছে, তখন আমার কাছে মনে হয়েছে, আমার জীবনটা খুবই সীমিত, আমার অনেক কিছু করতে হতো। মনে হয়েছে, আমার মায়ের সাথে কিছু সময় দেওয়া দরকার ছিল। আমার ছেলেমেয়েদের সাথে দেওয়া দরকার। আমি কি যাবো ওখানে? এর চেয়ে তো আমি ওখানে টাকা পাঠাতে পারি। ঝুঁকি কেন নিব? বিকল্প তো আরও অনেক কিছু করতে পারি। নামাজ পড়ে দোয়া করতে পারি, হুজুরকে টাকা দিতে পারি। যুদ্ধ থামলে অনেক কিছু করতে পারি। ফলে এভাবে অনেকে যেতে পারে না। মৃত্যুভয় অনেক বড় জিনিস। এভাবে প্রথমবার আমি যেতে পারিনি। পরেরবার আলহামদুলিল্লাহ, আমি চিন্তা করেছি, যেভাবেই হোক আমি যাবো।
আর্থিক সহায়তার উপায় নেই
এখন গাজাতে টাকা পাঠানোর কোনো উপায় নেই। গত মার্চের ৩ তারিখ থেকে গাজাতে এক বোতল পানিও ঢোকেনি। টোটাল ব্লকেড যাকে বলে। যুদ্ধবিরতি হলে ইএন-আরডব্লিউএর মাধ্যমে পাঠানো যায়। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে আমি বলবো, আর্থিক সহায়তা ইয়েমেনে পাঠাতে পারেন। কারণ গাজাকে সমর্থনের কারণে তাদের উপর বোমা হামলা করা হচ্ছে।
আমি যখন আসি—তখন যুদ্ধবিরতি শুরু, একই সাথে ছিল রমজান। ফলে গাজাবাসীর মধ্যে স্বস্তি দেখেছিলাম। কারণ, এই ভাই হারানো, সন্তান হারানো, সব কিছুর মধ্যেও স্বস্তি এসেছিল। কিন্তু এখন অবস্থা আরও খারাপ। প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে, যুদ্ধ বন্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান, গাজার সমর্থনে আপনারা প্রতিবাদ করুন। কিন্তু সাধারণ মানুষের যেন ক্ষতি না হয়। আপনি প্রতিবাদ করতে চাইলে ইসরায়েলকে যারা সহায়তা করছে, আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানির দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ করতে পারেন। গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে; মাঝে মাঝে চিন্তা করি, গণহত্যার সমর্থনকারী দেশগুলোরও এসব সুযোগ-সুবিধা সীমিত করে দেওয়া দরকার। এ ছাড়া আসলে তেমন কিছু করার নেই।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনে যুদ্ধে করার মতো আমাদের সুযোগ নেই। এর চেয়ে গণহত্যার সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেন।
এনএআর/এমইউ