মেডিভয়েস রিপোর্ট: দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্বাস্থ্যকর শহর প্রকল্প চালু হয়েছে বাংলাদেশে। নগরবাসীর জন্য সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) উদ্যোগে খুলনায় শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যকর নগরী গড়ার যাত্রা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিনের শুরুতে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ডোবা হয়ে যাওয়া একটি পুকুরে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। এর আগে ৩১ জানুয়ারি খুলনায় ওপেন জিম উদ্বোধন করা হয়।
বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা আবর্জনা আর ময়লার স্তূপ সরিয়ে নতুনভাবে প্রাণ ফিরিয়ে আনার এই উদ্যোগ স্থানীয়দের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। পরিচ্ছন্নতার কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে তারা দাবি জানিয়েছেন এ ধরনের অভিযান যেন নিয়মিত হয়।
ডাব্লিউএইচও উদ্যোগে ২০১৯ সালে প্রকল্পের সূচনা হয়, যা চলবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। তারই অংশ হিসেবে দেশের একমাত্র শহর খুলনায় পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হলো স্বাস্থ্যবান্ধব নগরী গড়ার পরিকল্পনা। বিশ্বের মাত্র পাঁচটি শহর এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এতে ডাব্লিউএইচও’র উদ্যোগে পথিকৃৎ হিসেবে বাস্তবায়নে করছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এবং সহযোগিতায় থাকছে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নগরের ঘনবসতি, নিরাপদ পানির অভাব, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বায়ু ও শব্দ দূষণ, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের বিস্তার এবং মানসিক চাপ সবকিছু মিলিয়ে নাগরিক স্বাস্থ্য এখন বিপদের মুখে। এসব সমস্যা দূর করে একটি আদর্শ নগরী গড়ে তুলতে নেয়া হয়েছে এই বিশেষ উদ্যোগ।
প্রকল্পের আওতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩০ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শুরুতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলবে, পাশাপাশি স্কুলভিত্তিক স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি, সুষম খাদ্যের গুরুত্ব তুলে ধরা, পরিবেশ রক্ষায় গণসচেতনতা সৃষ্টি, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজও হাতে নেয়া হচ্ছে।
এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে খুলনা নগরীতে সর্বসাধারণের জন্য একটি উন্মুক্ত জিম স্থাপন করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যে নগরবাসীর মধ্যে স্বাস্থ্যচেতনা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার গণমাধ্যমকে জানান, এ উদ্যোগকে স্থায়ী রূপ দিতে বড় পরিসরে উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে।
এমআই/