মেডিভয়েস রিপোর্ট: যুদ্ধের মধ্যেও তেহরানের বাতাসের মান ঢাকার চেয়ে কয়েক গুণ ভালো। ইসরায়েল-ইরানের যুদ্ধ পরিস্থিতি ও চলমান উত্তেজনার মধ্যেও আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৫৬, যা ঢাকার চেয়ে অনেক বেশি ভালো।
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ভোরের দিকেও কয়েক দফা বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর। ফলে আজকের দিনে ঢাকার বায়ুমানের উন্নতি হবে—এটি আগেই অনুমান করা যাচ্ছিল।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৭৩, যা মানদণ্ড অনুযায়ী ‘মাঝারি’ পর্যায়ের। দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় এ সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ২৮তম, যা তুলনামূলকভাবে নিচের দিকে।
গত কিছুদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোর বায়ুমানে উল্লেখযোগ্য অবনতি দেখা যাচ্ছে। তবে, ইসরায়েল-ইরানের যুদ্ধ পরিস্থিতি ও চলমান উত্তেজনার মধ্যেও আজ মঙ্গলবার সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানে একিউআই স্কোর ছিল ৫৬, যা ঢাকার চেয়ে অনেক বেশি ভালো। অন্যদিকে, ইসরায়েলের তেল আবিব শহরে এই মান ছিল ৬৯।
এই সময়ে দূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি শহর। তালিকার শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (১৬৯), মিসরের কায়রো (১৬৪) ও ইরাকের বাগদাদ (১৬২)। এরপরই রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (১৫১) ও করাচি (১৩৭)।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারিত হয় পাঁচটি মূল দূষণ উপাদানের ভিত্তিতে—পিএম ১০, পিএম ২ দশমিক ৫, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনওটু), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসওটু) ও ওজোন।
দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা শহর বায়ুদূষণের চরম পর্যায়ে রয়েছে। শীতকালে এই দূষণ সবচেয়ে প্রকট হয়, আর বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে তুলনামূলকভাবে বাতাস বিশুদ্ধ থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ—স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
প্রসঙ্গত, একিউআই স্কোরের মানদণ্ড অনুযায়ী, ০ থেকে ৫০: ভালো, ৫১ থেকে ১০০: মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০: অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০: খুব অস্বাস্থ্যকর, ৩০১ থেকে এর বেশি: বিপজ্জনক (মারাত্মক জনস্বাস্থ্যঝুঁকি)।
এমআই/