মেডিভয়েস রিপোর্ট: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়া সাতজন আহতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার (২০ জুন) সকালে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।
চিকিৎসার জন্য পাঠানো এই সাতজন হলেন— কুরবান হোসেন, রানা হোসাইন, রুহান মাহমুদ রিশাদ, দিলওয়ার হোসাইন, কুরবান শেখ, সৈয়দ আবিরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মেন্টু।
আন্দোলনে আহতদের চোখের সমস্যা নিয়ে দেশে দীর্ঘ চিকিৎসার পরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় তাদের বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সহায়তায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে।
দেশ ছাড়ার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দেন আহতদের একজন সৈয়দ আবিরুল ইসলাম। সেখানে তিনি লেখেন, 'অবশেষে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ হলো। যদিও গুলি খাওয়ার নয় মাস পর চিকিৎসা শুরু করে, কী ফল মিলবে তা জানি না। হয়তো ক্ষতি যা হবার তা হয়েই গেছে। তবুও এক বুক আশা আর আল্লাহর ওপর ভরসা নিয়ে রওয়ানা হচ্ছি।'
তিনি আরও লেখেন, 'গত কদিন খুব ব্যস্ততায় কেটেছে, সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি, দয়া করে ক্ষমা করবেন। দোয়া করবেন যেন আমার চোখের দৃষ্টি কিছুটা হলেও ফিরে আসে। যেন আবার এই সুন্দর পৃথিবীটাকে মন ভরে দেখতে পারি।'
ফ্লাইটে ওঠার আগে আবিরুল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাদের প্রতি, যাদের সহযোগিতায় চিকিৎসার এই সুযোগ মিলেছে। তিনি লেখেন 'যারা অক্লান্ত পরিশ্রম, ভালোবাসা ও সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।
চিকিৎসার উদ্দেশে যাওয়া সাতজনের এই যাত্রাকে আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা ‘আশার আলো’ হিসেবে দেখছেন। তারা আশা করছেন, চিকিৎসার মাধ্যমে আহতদের দৃষ্টিশক্তি কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
এসআইএস/