মেডিভয়েস রিপোর্ট: পরিবেশ দূষণের প্রভাব পড়েছে বঙ্গোপসাগর থেকে আহরণ করা সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়াতেও। এসব খাবারে পাওয়া গেছে ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, লেড ও জিংক প্রভৃতি ভারী ধাতুর উপস্থিতি। গবেষকরা বলছেন, এসব ধাতুর উপস্থিতির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেলে বড় ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে।
আজ শনিবার (২৯ জুন) টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ‘বঙ্গোপসাগর কোস্টে বিভিন্ন সময়ে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়াতে ভারী ধাতুর মাত্রা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এর প্রভাব’ প্রকল্পের বিষয়ে এক সেমিনারে এসব কথা উঠে এসেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইজের অধীনে এই প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ট্রেজারারের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনার উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মো. সিরাজুল ইসলাম।
সেমিনারে গবেষকরা বলেন, বিশ্বে পরিবেশগত দূষণের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্রের পানিতেও দূষণ দেখা দিয়েছে। এর ফলে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়াতে ভারী ধাতু প্রবেশ করছে। বর্তমানে এসব প্রাণীর শরীরে ভারী ধাতুর উপস্থিতি যে মাত্রায় পাওয়া গেছে, তা মানব শরীরের জন্য কম স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। তবে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ভারী ধাতুর উপস্থিতির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এজন্য সচেতনতা ও উচ্চতর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়ার শরীরে গ্রীষ্মকাল (ফেব্রুয়ারি-মে), বর্ষাকাল (জুন-সেপ্টেম্বর) ও শীতকালে (অক্টোবর-জানুয়ারি) ভারী ধাতুর (ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, লেড ও জিংক) মাত্রা পরীক্ষা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এআরএম সোলাইমান, লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. উমর ফারুক ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এএসএম সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
এতে রিভিউয়ার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আসলাম আলী ও কক্সবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এনামুল হক।
এনএআর/