মেডিভয়েস রিপোর্ট: দেশের স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা আনতে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনার জন্য সরকারের কাছে ক্ষমতা চেয়েছেন সিভিল সার্জনরা। তাঁরা মনে করেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি, ভুয়া চিকিৎসক, দালাল চক্র ও ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে তাঁদের সীমিত আকারে এই ক্ষমতা দেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে হাসপাতালের নিরাপত্তায় আনসার বা স্বাস্থ্য পুলিশ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।
সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে সিভিল সার্জনদের পক্ষ থেকে এসব দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
দেশে প্রথমবারো মতো শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী সিভিল সার্জন সম্মেলন। সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শেষ হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আদলে আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্মেলনে সারা দেশের সিভিল সার্জনরা অংশ নিয়েছেন। উদ্বোধনের পর দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের কার্য অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জনদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে নিজেদের দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকার জেলার সিভিল সার্জন মো. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিটি হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রায়ই হুমকির মুখে পড়েন। এ জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি হাসপাতালে আনসার বা ‘স্বাস্থ্য পুলিশ’ মোতায়েন করা জরুরি।
জিল্লুর রহমান বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ল্যাব, ভুয়া চিকিৎসক, দালাল চক্র ও ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সিভিল সার্জনের সীমিত আকারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া পদোন্নতিরও দাবি জানান তিনি। প্রশাসনিক পর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টির অনুরোধ জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জনরা ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই/