৪৮তম স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা হবে বিশাল সংখ্যক চিকিৎসকের মধ্যে। পরীক্ষাটি দুটি অংশে বিভক্ত—জেনারেল অংশ (১০০ নম্বর) এবং মেডিকেল অংশ (১০০ নম্বর)। উভয় অংশে ভালো করতে পারলেই সাফল্য নিশ্চিত হবে। তাই এখন থেকেই একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
জেনারেল অংশ (১০০ নম্বর)
এই অংশে বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা থেকে প্রশ্ন থাকে। অনেক সময় এই অংশে নম্বর তুলনামূলক কম উঠে, কারণ চিকিৎসকরা সাধারণত এই বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু এই অংশে ভালো নম্বর তুলতে পারলে প্রতিযোগিতায় অনেক এগিয়ে থাকা যায়।
প্রস্তুতির কৌশল
✔️ প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে জেনারেল অংশের জন্য সময় দিন।
✔️ বিসিএস প্রশ্নব্যাংক (বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছর) থেকে অধ্যয়ন করুন।
✔️ ইংরেজি ব্যাকরণ এবং অনুবাদ অংশ প্র্যাকটিস করুন।
✔️ গণিতে শুধু নিয়মিত চর্চা করলেই হবে, খুব কঠিন কিছু আসে না।
✔️ দৈনিক পত্রিকা পড়লে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও আন্তর্জাতিক অংশ সহজ হয়ে যাবে।
মেডিকেল অংশ (১০০ নম্বর)
এই অংশই অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর জন্য তুলনামূলক সহজ, কারণ এটি মূলত এমবিবিএস সিলেবাসভিত্তিক। তবে বিগত বছরের প্রশ্ন ও গুরুত্বপূর্ণ টপিকস ভালোভাবে না পড়লে নম্বর তুলতে সমস্যা হতে পারে।
প্রস্তুতির কৌশল
✔️ প্রথমেই বিগত বছরের স্পেশাল ও সাধারণ বিসিএস পরীক্ষার লিখিত মেডিকেল প্রশ্ন সলভ করে ফেলুন। ‘LUMINOUS Medical Digest for 48th Special BCS’—এর মতো গাইড বই ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে বিগত পরীক্ষার টপিক ও প্রশ্নভিত্তিক সাজেশন আছে।
✔️ প্রতিদিন ৩–৪ ঘন্টা মেডিকেল অংশের জন্য বরাদ্দ করুন।
✔️ গাণিতিক বিষয়ের মতো মেডিকেলেও concise preparation জরুরি। high yield topics—যেমন কমিউনিটি মেডিসিন, ফরেনসিক, মেডিসিন, সার্জারি, অবস অ্যান্ড গাইনি এবং প্যাথলজিতে বেশি গুরুত্ব দিন।
শেষ মুহূর্তের টিপস
✍️ প্রতিদিন একটি করে মডেল টেস্ট দিন এবং ভুলগুলো বিশ্লেষণ করুন।
✍️ টাইম ম্যানেজমেন্ট চর্চা করুন—প্রতিটি অংশে সময় বণ্টন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
✍️ আত্মবিশ্বাস হারাবেন না, ধারাবাহিক অনুশীলনই আপনাকে পজিশনে নিয়ে যেতে পারে।
শেষ কথা
৪৮তম স্পেশাল বিসিএস এ সফল হতে চাইলে জেনারেল ও মেডিকেল—দুই অংশেই ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তুতি দরকার। সময় কম, তাই সঠিক গাইড এবং পুরনো প্রশ্নভিত্তিক প্রস্তুতির বিকল্প নেই।
স্মরণ রাখুন, আপনি একজন ডাক্তার—আপনার পেশাগত জ্ঞানই আপনাকে সরকারি চিকিৎসক হবার পথে এগিয়ে নেবে। এখনই শুরু করুন।
এনএআর/