মেডিভয়েস রিপোর্ট: কোভিড-১৯ মহামারির উৎপত্তি কীভাবে হয়েছিল, সে বিষয়ে এখনও সব ধরনের সম্ভাবনাই উন্মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, মহামারির উৎপত্তি অনুসন্ধানে এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনুপস্থিত রয়ে গেছে।
ডব্লিউএইচও’র তথ্যমতে, এই বৈশ্বিক মহামারিতে আনুমানিক ২ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং স্বাস্থ্যখাত চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের মার্চ মাসে ডব্লিউএইচও এটিকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।
ভাইরাসটির উৎস অনুসন্ধানে ডব্লিউএইচও ‘সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর দি অরিজিনস অব নোভেল প্যাথোজেন’ (এসএজিও) নামে একটি বৈজ্ঞানিক পরামর্শক দল গঠন করে। এ দলটি ব্যাপক তথ্য অনুসন্ধান করেছে, তবে প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য এখনো অধরা রয়ে গেছে।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানোম গেব্রিয়েসুস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও চীন এখনও সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগৃহীত শত শত ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স এবং উহানের বাজারে বিক্রি হওয়া প্রাণীদের তথ্য দেয়নি। এছাড়া স্থানীয় গবেষণাগারে চলা গবেষণা ও বায়োসেফটি কার্যক্রম সম্পর্কেও পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কোভিড-১৯-এর উৎপত্তি নিয়ে তদন্ত করেছে। আমরা সেই রিপোর্টগুলো দেখতে চেয়েছি। যেহেতু এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা, তাই প্রাণী থেকে মানবদেহে সংক্রমণ (জুনোটিক স্পিলওভার) এবং গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া (ল্যাব লিক)– দুই ধরনের সম্ভাবনাকেই খোলা রাখা উচিত।’
তেদ্রোস সকল দেশকে আহ্বান জানান, যাদের কাছে কোভিড-১৯-এর উৎপত্তি সংক্রান্ত যেকোনো প্রাসঙ্গিক তথ্য রয়েছে, তারা যেন তা প্রকাশ করে। কারণ, ভবিষ্যতে মহামারি প্রতিরোধ ও বিশ্বমানবতার সুরক্ষায় এসব তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।