মেডিভয়েস ডেস্ক: গাজার ২ হাজার ৫০০ শিশুর জরুরি চিকিৎসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘গাজার শিশুদের জন্য দ্রুত মেডিকেল ইভ্যাকুয়েশন প্রয়োজন এবং তাদের পরিবারের কাছে ফেরত যাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত।’
আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গাজায় অবস্থিত আমেরিকান চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন গুতেরেস এবং তিনি গাজার স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে একটি জরুরি ঘোষণা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ২ হাজার ৫০০ শিশু মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। এই শিশুদের দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। এসব শিশুদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আঘাত পেয়েছে এবং তাদের জীবন রক্ষা করতে চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গুতেরেসের ভাষায়, এই শিশুদের জীবন বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সহায়তা একমাত্র পথ।
এতে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ধ্বংসের পর, স্থানীয় হাসপাতালগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত শিশুদের অধিকাংশই এমন সমস্যায় ভুগছে যা সহজেই সমাধান করা সম্ভব, তবে চিকিৎসার অভাবে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। তিন বছর বয়সী একটি শিশুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার হাতের পোড়া স্থানে সঠিক চিকিৎসার অভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা অস্ত্রোপচার ছাড়া মেটানো সম্ভব নয়।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রমা সার্জন ফিরোজ সিধওয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিশু মৃত্যুর আসন্ন ঝুঁকিতে রয়েছে। কেউ কেউ এখন মারা যাচ্ছে। কেউ কেউ আগামীকাল মারা যাবে। কেউ কেউ পরের দিন মারা যাবে’।
জানা গেছে, গাজায় বর্তমানে গুরুতর নিরাপত্তা সংকট বিদ্যমান, যার কারণে শিশুদের সাথে তাদের যত্ন নেওয়া ব্যক্তিকে সীমিত পরিসরে পরিবহন করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান, কিছু শিশুদের উদ্ধার প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, কারণ একাধিক শিশুদের একাধিক সহায়কের উপস্থিতি না থাকলে তারা নিরাপদে বের হতে পারছে না।
এই সংকটের মধ্যে, জাতিসংঘের মহাসচিবের দাবি গাজার শিশুদের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এই পরিস্থিতি শুধু গাজার জনগণের জন্য নয়, বিশ্ব মানবাধিকার আন্দোলনের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসআই/এসএইচ