থ্যালাসেমিয়া একটি জন্মগত, বংশগত, জিনগত রোগ। যেটা বংশপরম্পরায় পিতা-মাতা থেকে সন্তান-সন্ততিতে আসে। আমরা জানি রক্তের তিনটি কণিকা আছে—লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা। লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে হিমোগ্লোবিন থাকে, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষে পুষ্টি এবং শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। আমাদের বোনমেরুতে জিনগত কারণে এই লোহিত রক্তকণিকাগুলো ভেঙে যায়। এর ফলে অনেক সময় হিমোগ্লোবিন কমে রক্তশূন্যতা তৈরি করে। রক্তে লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে এই ভারসাম্যহীনতার ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, একেই আমরা থ্যালাসেমিয়া বলি।
থ্যালাসেমিয়া সাধারণত দুই প্রকারের হয়—
১. আলফা থ্যালাসেমিয়া
২. বিটা থ্যালাসেমিয়া
হিমোগ্লোবিনের আলফা চেইনের ঘাটতি হলে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, যার কারণে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে গেলে যা ঘটে, তাকে আমরা বলি আলফা থ্যালাসেমিয়া। আর বিটা চেইনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হলে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে গেলে যা ঘটে, সেটিকে আমরা বিটা থ্যালাসেমিয়া বলি। বিটা থ্যালাসেমিয়া সাধারণত বেশি হয় এবং এর তীব্রতাও বেশি।
বিটা থ্যালাসেমিয়া দুই ধরনের হয়—
১. বাহক বা ক্যারিয়ার বা মাইনর
২. মেজর বা রোগী
এখানে মেজর বলতে যাকে রক্ত নিয়ে নিয়ে বাচঁতে হয়। আর মাইনর বা বাহক—যার রক্তশূন্যতা কম হয়, তবে এমন না যে তাকে নিয়মিত রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
এভাবে আবার থ্যালাসেমিয়া মেজর বা থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলে শ্রেণিবিভাগ করা হয়ে থাকে। জিনোটাইপিং, ফিনোটাইপিং বিভিন্ন ধরনের শ্রেণিবিভাগ হয়। তবে মোটাদাগে থ্যালাসেমিয়াকে থ্যালাসেমিয়া আলফা এবং থ্যালাসেমিয়া বিটা বলে থাকে।
এমআই/এনএআর/